সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর ও কাজীপাড়া মেট্রো রেল স্টেশন দ্রুত চালু করতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সরকার প্রধান এই অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব জানান, জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে প্রথমে তারা মেট্রোরেল স্টেশন দুটির ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করবেন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন এই স্টেশন দুটি চালু করতে কিভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা যায়। তিনি বলেছেন, মেট্রো রেল স্টেশনে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু লোক, যেখানে বিপুলসংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী।
নাঈমুল ইসলাম খান উল্লেখ করেন, সাক্ষাতে জাপানি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বহু মানুষের ঘাম এবং চোখের জলে এই মেট্রো রেল নির্মিত হয়েছে। মেট্রো রেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি দেখে তিনি আহত হয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক দেশব্যাপী সংঘাতে হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করেন ইওয়ামা কিমিনোরি।
প্রেস সচিব আরও জানান, বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ধ্বংসের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- জনগণের কল্যাণ, নিরাপত্তা এবং সেবা প্রদানের জন্য নির্মিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে দুর্বৃত্তরা। যেসব প্রতিষ্ঠান জনগণের জন্য উপকারী, আক্রমণকারীরা সেসব প্রতিষ্ঠান টার্গেট করে। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। গত ১৫ বছর নিরলস প্রচেষ্টায় এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, আগস্টের শেষ ভাগে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক সংলাপের জন্য তার দেশের ব্যবসায়ীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
সংলাপের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কিমিনোরি।
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।