কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুই পুলিশ সদস্য হত্যায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শুক্রবার মিণ্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানার নেতৃত্বে গত ১৯ ও ২০ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় পুলিশের দুই সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যায় শিবিরের সক্রিয় কর্মীরাও অংশ নেয়।’
তিনি বলেন, ‘হামলার সময় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করেছে তারা। উদ্দেশ্য ছিল একটাই- পুলিশকে ডিমোরালাইজড করা। তারা হয়তো মনে করেছিল যে পুলিশকে ডিমোরালাইজড করতে পারলে আন্দোলন সফল হবে। পুলিশ দুর্বল হলে পিছিয়ে যাবে। তখন তারা এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং সরকারের পতন ঘটাতে পারবে।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যারা পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রো রেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে, যারা এসবে নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যেখানেই থাকুক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়া ও রায়েরবাগ এলাকায় গিয়ে তারা পুলিশকে টার্গেট করেছে। তারা পুলিশ মারতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।
‘গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে আবু বকর নামে এক শিবির কর্মীও রয়েছে।’
ডিবি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন- ডেমরা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা, মো. ইরফান, মো. আবু বক্কর, রবিউল ইসলাম, সৌরভ মিয়া ও মো. তারেক।