এক সপ্তাহেও খোঁজ মেলেনি মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ নৌ পুলিশ সদস্যের। তাকে উদ্ধারেও নেই উল্লেখযোগ্য তৎপরতা।
নিখোঁজ মেজবা উদ্দিন (৫৫) শিবচর উপজেলার চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়।
স্থানীয় ও নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে ট্রলারে করে লোকজন কাঁঠালবাড়ি থেকে মাওয়ায় পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছে বলে খবর আসে নৌ পুলিশের কাছে। এমন খবর পেয়ে শিবচরের চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুমন মিয়া, কনস্টেবল আতাউর রহমান, নূরে আলম, মাইনুল হোসেন ও মেজবা উদ্দিনের সমন্বয়ে একটি দল স্পিডবোট নিয়ে পদ্মা নদীতে টহলে যায়। হঠাৎ পদ্মার ঢেউয়ে নৌ পুলিশের স্পিডবোটটি উল্টে যায়। ওই সময় বাকিরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন মেজবা উদ্দিন।
গত কয়েক দিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন থাকায় মেজবা উদ্দিনকে উদ্ধারে অভিযানে বেগ পেতে হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিখোঁজ কনস্টেবলের খোঁজ পাওয়া যায়নি, তবে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টের উদ্ধার তৎপরতা বাড়ানোর কথা জানায় কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ।
শিবচর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার তপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘জেলাজুড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন থাকায় নিখোঁজ নৌ পুলিশের সদস্যকে উদ্ধারে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। তবুও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
শিবচরের চরজানাজাত নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে মেজবা উদ্দিনের সন্ধান মেলেনি। তবুও চেষ্টা চলছে।’
শিবচর থানার ওসি সুব্রত কুমার গোলদার বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ডিউটি চলাকালে নিখোঁজ নৌ পুলিশের সদস্যের এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সঙ্গে থাকা বাকিরা সুস্থ আছেন।’