কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে পৃথক ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। সবকটি মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ। এতে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানাসহ ৯২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় একটি ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অপর দুটি মামলা দায়ের হয়। প্রতিটি মামলায় আসামির তালিকায় একাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের বেশিরভাগই বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের পদধারী নেতা।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আসলাম খান বলেন, ‘পৃথক থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এসব মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি।’
এদিকে এসব মামলাকে পুলিশের খামখেয়ালি বলে উল্লেখ করেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘সারাদেশে কী ঘটেছে তা সবাই দেখেছে। মুন্সীগঞ্জে কী ঘটেছে তা-ও সবাই দেখেছে। এই জেলা ছিলো একেবারে শান্তিপূর্ণ। পুলিশ কিসের ভিত্তিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা দিলো তা বোধগম্য নয়।’
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক। এসব মামলার বেশিরভাগেরই কোনো ভিত্তি নেই। সরকারের নির্দেশে পুলিশ এসব মামলা সাজিয়েছে।’