কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরায় হামলায় গুরুতর আহত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় জুয়েল মোল্লা নামে জাহাঙ্গীর আলমের এক ব্যক্তিগত সহকারী ওইদিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠজন মোখলেছুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানান। হামলায় জাহাঙ্গীর আলম মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মোখলেছুর রহমান জানান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে গাজীপুর থেকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য বেশ কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে রওনা হন। উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকা পার হওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা তার গাড়িবহরের গতিরোধ করে। এ সময় জাহাঙ্গীর আলমের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা অনবরত ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। ইটের আঘাতে জাহাঙ্গীর আলমের মাথা ফেটে যায়। তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরাও আহত হন। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পরে জাহাঙ্গীর আলম পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিছু সময় পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পাশের একটি হাসপাতালে পাঠান। এ সময় তার মাথায় ১৭টি সেলাই দেয়া হয়। পরে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
এর একদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি ডিএ ফরমান বৃহস্পতিবার জানান, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা ও তার ব্যক্তিগত সহকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।