যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি পিটন লন্ডন থেকে নির্দেশনা পান, পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হবে। এ ঘোষণার পর মাঠে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয় নুরে আলম সিদ্দিকির দুলাভাই মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতানকে।
সুলতানকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ এমন তথ্য পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মিণ্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল আজিজ ছাত্রদের মিছিলে টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের ঢুকিয়ে দেন। এরপর তাদের দিয়ে দেশব্যাপী হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি ক্যাডারদের নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন তিনি।
‘টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূলদের দিয়ে রাজধানীর উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলন বাস্তবায়নে মো. আব্দুল আজিজ সুলতান টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের দিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদের নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় ছাত্রলীগের একজন নেতা বা কর্মীকে মারলে পাঁচ হাজার টাকা এবং একজন পুলিশ সদস্যকে মারলে ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার আসামির প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূলদের দিয়ে তাণ্ডব চালান। তারা রাজধানীর উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন এবং নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালান।’