মানিকগঞ্জের ঘিওরের ধলেশ্বরী নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুইজনের মরদেহ বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘিওর উপজেলার কুশুন্ডা এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বাহিরকামতা এলাকার দানেজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও সাটুরিয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর কাউন্নরা এলাকার প্রয়াত সেলিমের ছেলে রাসেল মিয়া (১৪)।
এর আগে বুধবার ট্রলারডুবির শিকার লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কামতা এলাকার সাহেব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (১৫) আহত হয়ে মারা যায়।
মিলন স্থানীয় জান্না আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিযনের গোলড়া কামতা এলাকার ৬০ জন স্থানীয় ব্যক্তি সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু এলাকায় নৌ-ভ্রমণে যান। ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কুসুন্ডা এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ৫৮ জন ব্যক্তি সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও দুজন নিখোঁজ হন।
ট্রলার থেকে সাঁতরে পাড়ে ওঠা মিলন হোসেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘিওর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, উদ্ধার হওয়া দুজনের মরদেহ মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরিচা স্থল কাম নদীবন্দর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর নাদিম মাহমুদ জানান, ঘটনাস্থলের আধা কিলোমিটার দূরে বৃহস্পতিবার ভাসমান অবস্থায় রফিকুল ইসলাম ও রাসেল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।