বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সহিংসতায় জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে: হারুন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৪ জুলাই, ২০২৪ ২০:৩২

ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে কে কীভাবে আগুন লাগায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তাদের অনেকেরই নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকা মহানগরীতে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। এসব ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রাজধানীর মহাখালীতে সেতু ভবনে ঢুকে লুটপাটের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তারসহ ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার নিজ কার্যালয়ে একথা বলেন ডিএমপি ডিবি প্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে কে কীভাবে আগুন লাগায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তাদের অনেকেরই নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

গ্রেপ্তার দুজন হলেন, জজ মিয়া ও মো. রাকিব। মঙ্গলবার রাতে মহাখালী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আন্দোলনের নামে ঢাকা শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে। মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও আহত করা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায় তারা। হামলার রসদ সরবরাহ করার তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।’

তিনি বলেন, ‘মহাখালীর সেতু ভবনে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কিছু নেতা টাকাপয়সা দিয়ে সাততলা বস্তি এবং কুড়িল বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সংগ্রহ করেছে। এরপর মহাখালীতে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরবর্তী সময়ে তারা সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়।

‘আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তারা কীভাবে আগুন লাগায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত অনেকের নামপরিচয় পেয়েছি।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- ঢাকা উত্তর যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা বরকতুল্লা বুলুর ছেলে সানিয়াত বুলু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপিসহ সভাপতি মোশারফ হোসেন খোকন ওরফে কাইল্লা খোকন, কৃষক দলের সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন, ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান দয়াল, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল উদ্দিন ও ভাটারা থানার আমির রেজাউল করিম।

জামায়াত-বিএনপি সরকারি স্থাপনাকে কেন টার্গেট করছে জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। পুলিশকে হত্যা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ডাটা সেন্টার, বিটিভি, আমাদের গর্বের মেট্রো রেলে হামলা করেছে।

‘সব জায়গায় তারা গানপাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা ৭১ সালের মতো পুরনো দিনে ফিরে গেছে। তারা চেয়েছিল সরকার উৎখাত করতে। দেশে কোটা আন্দোলন চলছে আর তারা ঢাকার বর্ডার এলাকায় রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছে। আমরা সবার নাম-পরিচয় পেয়েছি। তারা কীভাবে কার মাধ্যমে গানপাউডার ও অস্ত্র এনেছে বের করা হবে।’

ডিএমপি ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘তারা পুলিশকে মারার জন্য ও আগুন দেয়ার জন্য টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কে নির্দেশনা দিয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে সব বের করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর