চট্টগ্রামে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় নগরীর দুই থানায় চারটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করেছে। এতে আসামি করা হয়েছে কয়েক হাজার ব্যক্তিকে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ পর্যন্ত পাঁচলাইশ থানায় তিনটি এবং খুলশী থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা হবে।’
গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসামিদের বেশিরভাগই অজ্ঞাত। তাই ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সহিংসতায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলমান।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে জড়ো হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুর থেকেই ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলটি মুরাদপুর এলাকায় পৌঁছলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে তিনজন নিহত হন। আহত হন ৭৬ জন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষে নিহত তিনজনের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকার শফিউল আলমের ছেলে। অপরজন ফারুক পথচারী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। আরেকজন চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ শান্ত।