সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে একটি গোষ্ঠী অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বুধবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমনটা দাবি করে বলেন, ‘যারা এই ষড়যন্ত্র করছে তাদের একটি তালিকাও পেয়েছি।’
ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে একটি গ্রুপ কাজ করছে। একই গ্রুপ গুজব ছড়িয়ে কোটাবিরোধী (কোটা সংস্কার) আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে, তারা অতীতেও ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা তাদের ছাড় দেইনি।’
হারুন বলেন, ‘যারা রাজনীতিকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রেলের স্লিপার তোলা, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করছে, তাদের সবার নাম আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ডিএমপি ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চলবে।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সাধারণ ছাত্ররা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছিল। সাধারণ ছাত্রদের ক্লাসে যাওয়ার জন্য আদালত নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে একটি গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় বসে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়া শুরু করে।
‘ওই গ্রুপ গাড়িতে আগুন, রেললাইনের স্লিপার তোলা, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে। সবগুলো বিষয় গোয়েন্দা পুলিশ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেছে। ওই গ্রুপই কোটাবিরোধী আন্দোলনকে অন্যদিকে নিতে অর্থ, পানি, লাঠি ও অস্ত্র সরবরাহ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতেও জাতীয় প্রেস ক্লাবে দুটি বাসে আগুন, বিভিন্ন জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে তারা। গাড়িতে আগুন দেয়া কোমলমতি সাধারণ ছাত্রদের কাজ নয়। এ ছাড়া স্বাধীনতাবিরোধী কয়েকটি ছাত্র সংগঠন কয়েকটি জায়গায় মিছিল-সমাবেশ করেছে। আদালতের নির্দেশনা না মেনে কোটাবিরোধী আন্দোলন ভিন্ন দিকে চালানোর অপচেষ্টা চলছে।’
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে শতাধিক ককটেল, পাঁচ বোতল পেট্রোল, ৫০০ লাঠিসোঁটা, সাতটি দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’