বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজাকারের পক্ষে স্লোগানে নেতৃত্বদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ জুলাই, ২০২৪ ২৩:১১

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্লোগান, আন্দোলন- এগুলো আদালত অবমাননার শামিল, সংবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বেদীমূলে চপেটাঘাত। যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোটা আন্দোলনের নামে যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী যখন আন্দোলন শুরু করে তখন সেখানে বিএনপি-জামায়াত তাদের প্ল্যান্টেড লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার অপচেষ্টা করছে। সে কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান এসেছে।

তিনি বলেন, ‘যারা এই আন্দোলন করছে তারা দেশের সংবিধান মানতে চায় না। দেশের অনগ্রসর গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রের কার্যক্রমে যুক্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেয়ার বিষয়টি সংবিধানে আছে।’

মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘কোটার বিষয়টি এখন আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে কোটাপদ্ধতি বাতিলের যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল, একজন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সেটি বাতিল করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট আবার সেটির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ এটি আদালতে বিচারাধীন বিষয়। এটি নিয়ে সরকার কিছু করতে গেলে আদালত অবমাননা হবে, সংবিধানবিরোধী হবে।

‘এটি বুঝেও বিএনপি-জামায়তের প্ল্যান্টেড যারা, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝাচ্ছে, আবেগ-অনুভূতিকে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে। এমনকি তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক চীন সফর থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে কোটা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জননেত্রী স্পষ্ট বলেছেন, বিষয়টি যখন আদালতে বিচারাধীন তখন এ বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই। আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবে সরকার সেই মোতাবেক কাজ করবে।’

হাছান বলেন, ‘এটি বুঝেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্লোগান, আন্দোলন- এগুলো আদালত অবমাননার শামিল, সংবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বেদীমূলে চপেটাঘাত। সুতরাং যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে, আইন-আদালতের মর্যাদা রক্ষার্থে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’

আওয়ামী লীগকে দেশ পাহারা দিতে হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, সেটি না পেরে কখনও কোটা, কখনও তেল-গ্যাসের মধ্যে ঢুকছে। আর আমরা নির্বাচনের আগে রাজপথে থেকেছি, জয়লাভ করেছি বলে ঘরে বসে থাকা নয়; এখন দেশ পাহারা দিতে হবে।

‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তি যখন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তরুণদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বেদীমূলে আঘাত হানার চেষ্টা করছে, তাদের রুখে দিতে রাজপথে থাকতে হবে, দেশ পাহারা দিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর