সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতেই সমাধান হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি আদালতে গেছে। আদালত অন্তর্বর্তীকালীন একটি রায় দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের তাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য ডেকেছে। আদালতের রায়ের পর আমাদের কিছু করার নেই।’
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।
কোটা আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমাধান চান- এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আদালত রায় দেয়ার পর সেখানে আর কিছু করা যায় না। আমাদের সংবিধান সংসদ কার্যপ্রণালী বিধিতেও আমাকে এমন কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।’
যারা আন্দোলন করছে তারা এসব বিষয়ে জানে কিনা- এমন প্রশ্ন রাখেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে কিন্তু আমরা সব কোটা বাতিল করে দিয়েছিলাম। তারপর কী হয়েছে আপনার দেখেছেন। নারীর সংখ্যা কমে গেছে।
‘তাদের বুঝতে হবে যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু তারা আইন মানবে না, আদালত মানবে না, সংবিধান মানবে না। একটা রাষ্ট্র কিভাবে চলে তাদের বুঝতে
হবে।’
আন্দোলনকারীদের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে করুক। কিন্তু ধ্বংসাত্মক বা সহিংসতা করলে আইন আইনের গতিতেই চলবে।’
সরকারি চাকরিতে কোটা অব্যাহত রাখার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি যুক্তিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করার ফলে কোটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর প্রশাসন ও পুলিশে নারীদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ কমে যায়।
‘কিছু অঞ্চল আছে যেগুলো এখনও পিছিয়ে আছে। তাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। দেখা গেছে কোটা না থাকায় ২৩টি জেলা থেকে চাকরি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধরা যেখানে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, পরিবার-পরিজনের কথা ভুলে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন, রাষ্ট্রকে তার দায় শোধ করতে হবে।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়ার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?’