কোটা আন্দোলনকারীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে এবং ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করারও চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে শনিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘কেউ যদি আদালতের আদেশ না মানে, সড়ক অবরোধ করে এবং আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি করে তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে যৌক্তিক কাজ সেটাই করা হবে।
তিনি বলেন, ‘কোটার ব্যবস্থার প্রচলন শুধু বাংলাদেশে নয়, অনেক দেশেই আছে। কোটার বিরোধিতা করে কিছু লোক ও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্দোলন করছে। ইতোমধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
‘সুপ্রিম কোর্ট সবার ভরসাস্থল। আদালতের নির্দেশনা সবার মেনে চলা উচিত। কিন্তু কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না গিয়ে বিভিন্ন সড়কে বসে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। অনেক জায়গায় গাড়িতে তারা হাত দিচ্ছে এবং একটি মামলাও রুজু হয়েছে।’
হারুন বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে যে আদালত মানবে না, পুলিশের কথা মানবে না, তাহলে আমাদের করার কী আছে? আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে ক্ষমতা আমরা সেটাই করবো।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, ‘আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে কিনা, ঘটনাটি অপরদিকে ধাবিত করার চেষ্টা চলছে কিনা- এসব নিয়ে ডিবির টিম ও পুলিশ কাজ করছে। কেউ যদি হাইকোর্টের নির্দেশনা না মেনে আন্দোলনের নামে সড়কে নেমে অবরোধ করে গাড়িতে হামলা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, তবে আমরা ধরে নিতে পারি অনুপ্রবেশকারীরাই এসব কাজ করছে।’