চট্টগ্রামের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত ও গ্যাস কমিশনিং কাজ শেষ করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। সে সুবাদে চলমান গ্যাস সংকট আজ শুক্রবার বিকেল থেকেই কাটবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট পাইপলাইন মেরামতের কাজ আজ শুক্রবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে শেষ হয়েছে। আজ বিকেল থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ ও গ্যাস গ্রিডের প্রেসারের (বর্তমান ৭০ পিএসআই) সঙ্গে সিঙ্ক্রোনাইজ করে গ্যাস সঞ্চালন ও চাপ ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে কর্ণফুলী টানেল ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) মাঝামাঝি স্থানে ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি জানায়, দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল।
এই পরিস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন বিদ্যুৎ ইউটিলিটি কর্মকর্তারা।
পেট্রোবাংলার সরকারি হিসাবে দেখা গেছে, আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশে গ্যাস সরবরাহ কমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক দুই হাজার ২৫৩ মিলিয়ন ঘনফুটে (এমএমসিএফডি)।
পিডিবির কর্মকর্তারা জানান, পেট্রোবাংলার এলএনজি সরবরাহ ক্ষমতা এক হাজার ১০০ এমএমসিএফডি থেকে ২৫৩ এমএমসিএফডিতে নেমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যায়।