টানা বৃষ্টিতে সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়, যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের।
ইউএনবি জানায়, ভোর থেকে রাজধানীজুড়ে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কাকরাইল, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, ফার্মগেট, বাড্ডা, মগবাজার, মিরপুর ও খিলক্ষেত এলাকায় গোড়ালি সমান পানি পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায় অনেককে।
বৃষ্টির পানি ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিনে ঢুকে যানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ও বিকল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন গাড়িচালকরা।
ইউএনবি জানায়, ছুটির দিনে রান্নাঘরের জিনিসপত্রের ক্রেতা-বিক্রেতা, ছুটি কাটাতে বাড়ি ফেরার যাত্রী ও সকালে ব্যায়াম করতে বের হওয়া লোকজন সবচেয়ে বিপাকে পড়েন।
প্রাইভেটকারের চালক শাহ আলম বার্তা সংস্থাটিকে জানান, তিনি গুলশান যাওয়ার জন্য সকাল সাতটার দিকে মৌচাকের বাসা থেকে বের হলেও জলাবদ্ধতার কারণে মৌচাকের একটি গলিতে প্রায় ৪০ মিনিট আটকা পড়েন।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতার জন্য নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে দায়ী করেন একাধিক বেসরকারি চাকরিজীবী, যাদের ভাষ্য, হালকা বৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলো সাধারণত তলিয়ে যাওয়ায় শহরটি ধীরে ধীরে বসবাসের অযোগ্য নগরীতে পরিণত হচ্ছে।
এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বৃষ্টির কারণে সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি কম ছিল। এর ফলে বিশেষত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের গন্তব্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছিল।
মালিবাগ, শান্তিনগর, মগবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
জলাবদ্ধতার সুযোগ নিয়ে রিকশাচালকরা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিকুল নেওয়াজ কবির ইউএনবিকে বলেন, তারা সকাল ছয়টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছেন।