সরকারি চাকরিতে (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ আদেশের পরও রাজপথে থাকবেন বলে দুপুরে জানিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। হাইকোর্ট (সুপ্রিম কোর্ট) কী রায় দিয়েছে, সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়, তবে হাইকোর্টের রায়ের প্রতি আমাদের সম্মান আছে।
‘আমাদের দাবি আইন পাস করে এটির (চাকরিতে কোটা) স্থায়ী সমাধান।’
আইন পাস অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার জানালে নাহিদ বলেন, ‘তাহলে নির্বাহী বিভাগের পক্ষ থেকে যদি আমাদের এক দাবি নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেয়, তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব কি না সেটি বিবেচনা করতে পারি। অন্যথায় আমরা রাজপথ থেকে সরছি না।’
আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই রায়ে আমরা আশাহত হয়েছি, কিন্তু আমরা দমে যাইনি। আমরা মনে করি, আমাদের আন্দোলনকে ডিসপার্স করার জন্য এই রায় রাষ্ট্রযন্ত্রের একটা কৌশল। আমরা অসুস্থ হচ্ছি, কিন্তু আমাদের আন্দোলন শেষ করছি না।
‘যতক্ষণ না নির্বাহী বিভাগ থেকে কোনো লিখিত পরিপত্র জারি করা না হচ্ছে অথবা স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না পাচ্ছি, ততক্ষণ আমরা মাঠ ছাড়ছি না।’
এদিকে সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার শাহবাগসহ আশেপাশের মোড় অবরোধ শুরু করেছেন এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
এর আগে সায়েন্স ল্যাব-নীলক্ষত মোড় অবরোধ করেন ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। আর মহাখালী মোড় অবরোধ করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া জিপিও মোড় অবরোধ করেন ঢাবির শহিদুল্লাহ হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা। এতে আশেপাশের সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
এদিকে একই সময় কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করা হচ্ছে দাবি করে কটূক্তিকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।