সরকারি চাকরিতে (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
আদেশের বিষয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের পক্ষের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদেশটা হচ্ছে সাবজেক্ট ম্যাটারের ওপর স্থিতি অবস্থা দিয়েছেন ফোর উইকসের (চার সপ্তাহ) জন্য। চার সপ্তাহ পরে ৭/৮ তারিখে (৭ আগস্ট) ফিক্স করা হয়েছে। ৭/৮ তারিখে আবার হেয়ারিংয়ের (শুনানি) জন্য আসবে। তখন আদালত জাজমেন্ট দেখে পরিপূর্ণ বিবেচনা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত বলেছেন, যারা আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রী, তাদেরকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য বলেছেন। ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়দেরকে বলেছেন, তারা যেন শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রেখে ক্লাস করান।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেড (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।
পরিপত্রে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীর ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।
এ পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৩০ শতাংশ বাতিল চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট।