বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মতিউর পরিবারের তথ্য চেয়ে এনআইডি-পাসপোর্ট দপ্তরে দুদকের চিঠি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৩১

মতিউর, তার দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে ২ জুলাই নোটিশ দিয়েছিল দুদক। এর আগে ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আলোচিত সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এনআইডি-পাসপোর্টের তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের নাম উল্লেখ পৃথক চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

মতিউর, তার দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে ২ জুলাই নোটিশ দিয়েছিল দুদক। এর আগে ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

আলোচিত মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব টিম কাজ করেছে। ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, ‘এনবিআরের সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করার পর কাজ শুরু করেছে দুদক।’

গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। বর্তমানে তাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকায় গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।

এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর