‘গতকাল (সোমবার) মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম। ভাই পড়াশোনার পাশাপাশি আড়তে কাজ করে। আমি ভেবেছি সে মহাজনের কাজে আছে। আমার ভাই যে নদীতে গোসলে নেমেছিল, এ কথা কেউ জানায়নি।
‘আজ সকালে জানতে পারি, আমার ভাই গতকাল দুপুরে তার পাঁচজন বন্ধুর সাথে নদীতে নেমে ডুবে গেছে। খবর পেয়ে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে কল করি। এখনও ভাইকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
কথাগুলো বলছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় টাঙ্গন নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ কলেজছাত্র রায়হান ইসলামের (১৬) বড় বোন রুমি আক্তার।সদরের গোবিন্দনগর ইক্ষুখামার ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন ঘাট থেকে রোববার দুপুরে নিখোঁজ হয় ওই কিশোর।
নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থী রায়হান ইসলাম স্থানীয় মুজিবনগর গ্রামের শহিদের ছেলে। মে স্কলার্স কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী এক কিশোর বলে, ‘গতকাল (সোমবার) নদীতে ওরা পাঁচ থেকে ছয়জন নেমেছিল। যখন সে হাবুডুবু খাচ্ছিল, তখন স্বভাবিকভাবে মনে করেছিলাম গোসল করছে। পরে সে আর ওঠেনি।
‘আমি এখানে মেহমান। বেড়াতে এসেছি। ওদের বাড়িও চিনি না, তবে আমি তার সাথে গোসলে নামা ছেলেদের বলেছিলাম যেন তার বাড়িতে জানায়।’
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অনেক দেরিতে জানানো হয়েছে। আমরা ধারণা করছি মরদেহ ভেসে অনেক দূরে চলে গেছে অথবা পানির নিচে বালুতে চাপা পড়ে আছে।
‘ডুবরি দলের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ডুবরি ছাড়া উদ্ধারকাজ পরিচালনা সম্ভব নয়।’