কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন নেই জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ছাত্রদের যে দাবি তার সঙ্গে আমরা একমত।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়ে এসে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের বিষয়টিকে আমরা দুভাবে দেখি। দেশের মূল সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ডাইভার্ট করতে এ ধরনের আন্দোলনের সৃষ্টি। অন্যদিকে দেশের মানুষ নিজেদের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে সরকার অর্থ সংকটে ভুগছে। এখন তারা সব জায়গায থেকে টাকা নিয়ে দেশটা চালাতে চাচ্ছে। সরকারের দুর্নীতিবাজদের জন্য জনগণকে ঋণের ফাঁদে ফেলা হয়েছে।’
পেনশন নিয়ে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শিক্ষকদের বক্তব্য অত্যন্ত যৌক্তিক।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভোরের দিকে হঠাৎ করে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওনার অনেক অসুখ আছে, যা আমরা বার বার জাতির কাছে তুলে ধরেছি। কিন্তু সরকার কোনো কেয়ার করেনি। ওনার জীবন হুমকির মুখে। এটা এরা (সরকার) ইনটেনশনালি করছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। ওনার প্রতি চরম অন্যায় করা হচ্ছে। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এভাবে তাকে আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
‘আমরা বার বার বলেছি যে, তার চিকিৎসাটা দরকার বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি চিকিৎসা কেন্দ্রে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, তারা (সরকার) প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামকে চব্বিশ ঘন্টা মনিটর করছেন চিকিৎসকরা। আর তার নিঃশর্ত মুক্তির আন্দোলন চলবে। দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আন্দোলন আমরা করছি। ভবিষ্যতে আরও আন্দোলন হবে। আমরা চেষ্টা করবো এই আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করি। আমরা কখনোই অগণতান্ত্রিক পথে কোনো কিছু করতে চাই না। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে যে, এটাতে সাড়া দিয়ে তার মুক্তির ব্যবস্থা করা, এটা জরুরি প্রয়োজন।’