মানিকগঞ্জ পৌরসভায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের কামড়ে পথচারী নারী-শিশুসহ ৫৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম সেওতা, বান্টুটিয়া চকপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, বান্টুরিয়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকালে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর পথচারী, ভিক্ষুক, শিশুসহ যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়াতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে মানুষের মাঝে আতঙ্কে সৃষ্টি হয়। বর্তমানে কুকুরের কামড়ের আতঙ্কে সময় পার করছেন পৌরবাসীসহ শহরে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে।
আহতদের একজন শহরের পশ্চিম সেওতা এলাকার ইউসুফ আলী জানান, দুপুরে বাজার করার জন্য মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে পেছন থেকে একটি কুকুর দৌড়ে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাঁটুর নিচে বেশ কয়েকটি কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে যান তিনি।
পশ্চিম সেওতা কবরস্থানের পরিচ্ছন্নকর্মী ঘোটু মিয়া বলেন, ‘কবরস্থানের আগাছা পরিষ্কার করার সময় একটি কুকুর এসে পায়ে কামড় দেয়। এ সময় ছাড়াতে গেলে হাতেও কামড় দিয়ে পালিয়ে যায় সেটি। পরে কবরস্থান মাদ্রাসার শিক্ষকরা আমাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আমাকে দুটি ভ্যাকসিন দেয়া হয়।’
ভিক্ষুক সালেহা বেগম বলেন, ‘সকালে সেওতা এলাকায় ভিক্ষা করার সময় কুকুর কামড় দেয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভ্যাকসিন দেয়। এরপর কুকুরের কামড়ের ভয়ে ভিক্ষা করা বাদ দিয়ে বাড়ি চলে যাই।’
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলাম জানান, ভ্যাকসিনসহ চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা আছে। কুকুরে কামড়ানো ব্যক্তিরা হাসপাতালে এলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘কুকুরে কামড়ানোর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ্যজনক। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হবে। একইসঙ্গে বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
প্রসঙ্গত, কুকুরে কামড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হবে। তা না হলে কুকুরটির যদি জলাতঙ্ক থাকে তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তির জলাতঙ্ক হতে পারে। এমনকি ১০ বছর পর্যন্তও জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।