বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ২২ এমওইউর সম্ভাবনা, চুক্তি হবে না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ জুলাই, ২০২৪ ১৭:২১

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনো চুক্তি হচ্ছে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে কোনো চুক্তি হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর উপলক্ষে রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চীনের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা; অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা; বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সহযোগিতা; নবম চায়না ফ্রেন্সশিপ ব্রিজ নিয়ে সমঝোতা; মেডিক্যাল ও পাবলিক হেলথ বিষয়ে সমঝোতা; রেডিও ও টেলিভিশন সংক্রান্ত সহযোগিতাসহ আরও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।’

মোটা দাগে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এভাবে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।’

‘চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। চীনের অনেক বিনিয়োগ আছে। তারা আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে। উন্নয়ন ইস্যুটি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে এবং অর্থনেতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পাবে’, যোগ করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন এবং একই দিন চীনের স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেয়া হবে এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে অভ্যর্থনা জানানো হবে।’

৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিস বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন। ওইদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী চীনের পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হানিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রিমিয়ার অফ দ্য স্টেট কাউন্সিল দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবে।

ওইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।

এরপর ১১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা চীন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। দুপুর ২টায় তাদের ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং-এর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই চীনে সরকারি সফর করবেন। অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।

এ বিভাগের আরো খবর