বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

  • প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল    
  • ৬ জুলাই, ২০২৪ ১৫:০৩

সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র তৌকির আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

চাকরিতে কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল এবং ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে উচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, আজ সকাল আটটা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়।

এরপর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন।

টাঙ্গাইলের নগর জলফৈ (বাইপাস) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু করেছেন। ওই সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল থেমে যায়, তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ সব জরুরি যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দেন আন্দোলনকারীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরা কখনও সারা দিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না; আমরা পড়াশোনা করতে চাই, কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই।

‘কারণ যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। দেশে সরকারি চাকরি করার আগ্রহও হারাবে।’

সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র তৌকির আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, ‘এই আন্দোলন কোনো সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন; যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।’

টাঙ্গাইল সদর উপ‌জেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহুল আমীন শরিফ বলেন, ‘মহাসড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে আন্দোলন কাম্য নয়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।

‘আমরা তাদের সাথে আলোচনা করছি ও তাদের দাবিগুলো ওপর মহলে জানানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর