ভারতকে রাজনৈতিক বন্ধু আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের বন্ধু হলো চীন।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এ ফলমেলার আয়োজন করা হয়।
আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই চীন সফরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফর শুরুর দুই দিন আগে দেয়া বক্তব্যে কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত ও উন্নয়নের বন্ধু চীন। উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ-সুবিধা পাব, তা কেন নেব না?’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির দিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয় তত্ত্বে বিশ্বাস করে। একাত্তরের পর থেকে ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতীয় সৈন্যরা তখন আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছে। তাদের জনগণ আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। ওই দুঃসময়ের সাহায্য আমরা ভুলে যেতে পারি না।
‘পঁচাত্তরের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বৈরিতা রেখে ২১ বছর অন্যরা কী অর্জন করেছে? অথচ পরের সরকারে এসে আওয়ামী লীগ ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছে। ভালো সম্পর্ক আছে বলে আরেকটা সমুদ্রসীমা ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সম্পর্ক ভালো বলেই ছিটমহল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। গঙ্গা পানির চুক্তিও করেছি। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ-আলোচনা করে সব সমাধান করা যায়। আমরা কখনও খালি হাতে ফিরিনি। আগেও ফিরিনি, এখনও না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের জন্য যেখানে সুবিধা পাব, আমরা সেটা কেন নেব না? এখন কারও গায়ে চুলকায়, কারও অন্তরে জ্বালা হচ্ছে।’