বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

  • প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ৪ জুলাই, ২০২৪ ১৪:৩৫

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজ জনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চাকরির বাজারের এমনিতে যে অবস্থা, তাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এটা আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। আমরা মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কোটা বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

ওই সময় শিক্ষার্থীদের ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘সংগ্রাম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগানের পাশাপাশি ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শন করতে দেখা যায়।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজ জনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চাকরির বাজারের এমনিতে যে অবস্থা, তাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এটা আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। আমরা মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।

‘সব শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক। মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে এক শ্রেণির মানুষ লাভবান হবে, সেটি মেনে নেয়ার মতো নয়। অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে।’

তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তমা সরকার মিম বলেন, ‘কোটার বিরুদ্ধে যে অহিংস আন্দোলনে আমরা নেমেছি, তা সফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা চাই বাংলাদেশ কোটামুক্ত হোক; মেধাবীদের মূল্যায়ন করা হোক।’

চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

১.২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

২. কোটাধারীরা জীবনদ্দশায় একবারই কোটা ব্যবহার করতে পারবেন।

৩. প্রতি ১০ বছর পর পর জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষা করতে হবে, যাতে কোটার প্রয়োজনীতা কেমন, সেটি বোঝা যায় এবং কোটার মূল্যায়ন করা যায়।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর