দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান জাতীয় তামাশা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন হওয়ায় ক্ষমতার স্তর নির্বিশেষে ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিচারের ক্ষেত্রে কমিশন নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
‘সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি প্রধান আছাদুজ্জামান মিয়া ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের মতো দুর্নীতির কুখ্যাত ব্যক্তিরা কীভাবে সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থাকলেন? প্রধানমন্ত্রী কি এর কোনো উত্তর দিতে পারবেন?’
রিজভী বলেন, ‘সরকার নিষ্ক্রিয় থাকায় জনগণ দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারের নানা ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে।
‘কমিশন রিপ ভ্যান উইঙ্কলের মতো ঘুমিয়ে পড়েছে। যারা একতরফাভাবে জনগণের টাকা আত্মসাৎ ও লুটপাট করেছে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছে ডামি আওয়ামী সরকার। দুর্নীতিতে কলঙ্কিত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকারের অবস্থান জাতীয় তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সরকার বর্বর পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তার গোপন রহস্য উন্মোচন করছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তথাকথিত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন মেরুদণ্ডহীন বলেই শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধী দলগুলোকে দমন করাই আওয়ামী দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কাজ।
‘গত ১৫ থেকে ১৬ বছরে সরকারের অনিয়ম ও ব্যাপক দুর্নীতি দুদক ধামাচাপা দিয়েছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত দুদক সঠিকভাবে করবে- দেশের মানুষ তা বিশ্বাস করে না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করার পুরস্কার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও সরকারের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিপুল সম্পদ অর্জনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
‘আন্দোলন দমনে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তারা বিলাসবহুল বাড়ি, অসংখ্য ফ্ল্যাট ও শত শত একর জমি কিনেছেন।’