বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ জুলাই, ২০২৪ ২১:৩৩

জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। এতে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হচ্ছে না বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এই সীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সদস্য পিরোজপুর-৩ আসনের শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। এতে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে। চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য ৬ থেকে ৭ বছর সময় পায়।

এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও এক থেকে দুই বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর বেশি বয়সী (২৯ এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে কম, এক দশমিক ৭১ শতাংশ।

মন্ত্রী আরও জানান, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।

ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে, তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর