দেশে ২০৩৫ সালের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।
আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এ পর্যন্ত সর্বমোট আট লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করেছে। এতে উপকারভোগী মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি।
‘এ পর্যন্ত দেশের ৫৮টি জেলা ও ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন এবং গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ এখন সম্পূর্ণ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত। এছাড়া ব্যারাক হাউজের মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমরা মোট এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পেট্রোবাংলার অধীন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (আরপিজিসিএল) জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির ওপর উন্নত বিশ্বের চলমান অধিকতর গবেষণাগুলোর ফলাফল এবং গৃহীত কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেল গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি প্রাপ্তির পর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করবে।
‘আশা করা যায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।’
এমপি রজিত চন্দ্র সরকারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, ‘হাওর এলাকার উন্নয়নের জন্য ৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ বছর মেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।’
এমপি আফজাল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩২ লাখ প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে এক লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
ভোলা-২ আসনের সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে অধস্তন আদালতে এক হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’