বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর ব্যতিক্রম হলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবরের ঘটনাপ্রবাহের পর আট মাসের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে এটিই ছিল বিএনপি আয়োজিত প্রথম বড় সমাবেশ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অবিলম্বে (কোনো শর্ত ছাড়াই) আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিন। অন্যথায় যেকোনো পরিণতির জন্য আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের জনগণ খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে থাকতে দেবে না।’
বর্তমান লুটেরা সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে রাজপথে নামতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা এবং মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোলন জোরদার করবে।’
বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের ভূমিকা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও দেশের গণতন্ত্রকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অনেক নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে দেশ আজ চোর ও লুটেরাদের দ্বারা পরিপূর্ণ।’
খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে কারাগার থেকে মুক্ত করতে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানান দলের মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। চোর-অপরাধীরা যখন মুক্তি পাচ্ছে, তখন তাকে মুক্ত করতে সমস্যা কোথায়?
‘খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।