একসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলাফেরা নবী হোসেন (৪৯) ও দেলোয়ার হোসেনের (২৪)। বয়সের অনেক পার্থক্য থাকলেও চলাফেরাটা বন্ধুর মতো।
নবী হোসেনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের মনাকর্শা গ্রামে। দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি পাশের শেওড়া গ্রামে।
মনাকর্শা গ্রামের ওসমান আলীর সঙ্গে নবী হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনের ব্যাটারি চুরি ও টাকা-পয়সা পাওনা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরেই এ দুজন ওসমান আলীকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর উদ্যোগ নেন বলে জানায় র্যাব।
বাহিনীটির ভাষ্য, পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার রাতে একটি দেশীয় পাইপ গান, একটি চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল নিয়ে ওসমানের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন নবী হোসেন ও দেলোয়ার। পথেই বিপত্তি বাধায় র্যাবের চেকপোস্ট।
র্যাব আরও জানায়, শুক্রবার রাত পৌনে দুইটার দিকে কর্শাকড়িয়াইল নতুন বাজার থেকে মনাকর্শা গ্রামগামী পাকা রাস্তায় চেকপোস্ট কার্যক্রম চলাকালে র্যাব এ দুজন ব্যক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
দেলোয়ারের কাছ থেকে পাইপ গান এবং নবী হোসেনের কাছ থেকে চায়নিজ কুড়াল ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
দেলোয়ার নিজেই পাইপ গানটি তৈরি করেছেন বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাটি জানান র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল কবির।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।