ময়মনসিংহে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ১০ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে ১৪ হাজার ৬৪০ টাকা, ৩টি রিফ্লেক্টিং বেল্ট, ৩টি লাঠি ও বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নগরীর চরপাড়া, আকুয়া বাইপাস ও শম্ভুগঞ্জ এলাকায় চাঁদাবাজির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ৪০ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর ইসলাম, ৩৫ বছর বয়সী ফরহাদ হোসেন, ৩৭ বছর বয়সী ইদ্রিস আলী, ৪১ বছর বয়সী তোফাজ্জল হোসেন, ২৫ বছর বয়সী মিঠুন, ৩০ বছর বয়সী আবু সাঈদ, ৩০ বছর বয়সী রুবেল। তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
এছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন- জেলার তারাকান্দা উপজেলা ডিটুযারী গ্রামের ৩৮ বছর বয়সী সবুজ, ঈশ্বরগঞ্জের দত্তপাড়া গ্রামের ৩৫ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম ও গৌরীপুরের নওয়াগাঁও গ্রামের ৪০ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলমাস।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার চাঁদাবাজরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নিত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী যানবাহন ময়মনসিংহে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও দিয়ে থাকে। চালকরা কখনও তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর, চালক-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই চক্রটি ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি রাতে পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে আসছিল। গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
এই চক্রের সদস্যদের আশ্রয়দাতা, পৃষ্ঠপোষকতাকারী এবং মদতদাতাদের তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’