বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন অর্ধেক, বেড়েছে লোডশেডিং

  • প্রতিনিধি, পটুয়াখালী   
  • ২৭ জুন, ২০২৪ ২১:৫৬

রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পায়রা-১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটিতে বুধবার থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইউনিটটি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ করতে আরও পাঁচদিন সময় লাগতে পারে।

রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পায়রা-১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটিতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটটি বুধবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।

ইউনিটটি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ করতে আরও পাঁচদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির সহকারী ব্যবস্থাপক (তদন্ত) শাহ মণি জিকো। ইউনিটটি উৎপাদনে না থাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে ওই ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত না হওয়ায় হঠাৎ করে পটুয়াখালী জেলায় চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন চলছে একটি ইউনিটে। ছবি: নিউজবাংলা

জাতীয় গ্রিড পটুয়াখালীতে কর্মরত একজন সহকারী প্রকৌশলী জানান, পটুয়াখালী জেলায় মোট বিদ্যুতের চাহিদা এক শ’ মেগাওয়াট। সেখানে বুধবার থেকে তারা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন মাত্র ৫০ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় কয়েকটি উপজেলায় তারা বেশি মাত্রায় লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

অপরদিকে পটুয়াখালী ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীন মোহাম্মদ মুহিম জানান, পটুয়াখালীতে তাদের মোট ৩২ হাজার গ্রাহকের জন্য ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও তারা পাচ্ছেন ১০ থেকে ১২ মেগাওয়াট। ফলে পৌর এলাকাতেও তারা মাঝে মধ্যে কম-বেশি লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

জাতীয় গ্রিড পটুয়াখালীতে কর্মরত ওই সহকারী প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ন্যাশনাল ক্রাইসিসের কারণে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেশি হচ্ছে। তার ওপর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ না হওয়ায় পটুয়াখালী জেলায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে। তবে সম্মিলিতভাবে বিদ্যুৎ বিভাগ চেষ্টা চালাচ্ছে এই ‘ন্যাশনাল ক্রাইসিস’ থেকে মুক্ত হওয়ার।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহ মণি জিকো বলেন, ‘১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনেক বড় একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৪৫ থেকে ৫০ দিন আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।

‘বিভিন্ন মেশিন পর্যায়ক্রমে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার থেকে এখানকার দুটি ইউনিটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে। আর স্বাভাবিক কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তবে আরও ৪/৫ দিনের মধ্যে পায়রা-১৩২০ মেগাওয়াট প্রকল্পটি আগের মতো পুরোদমে উৎপাদনে আসবে।

এ বিভাগের আরো খবর