বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত সাদিক এগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ জুন, ২০২৪ ১৮:২৭

সম্প্রতি দেড় কোটি টাকার ‘অভিজাত’ গরু এবং ‘১৫ লাখ টাকার’ ছাগল নিয়ে আলোচনায় আসে এই খামার। অভিযানের প্রথমেই ফার্মের অফিস ও দুটি শেড ভেঙে দেয়া হয়। এই দুই শেডের একটিতে ছিল কোরবানির ঈদের আলোচিত সেই ছাগলও। ১৭৫ কেজি ওজন, ৬২ ইঞ্চি উচ্চতার ছাগলটিসহ সব ছাগলই অভিযান শুরুর পরপরই খামার থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আলোচিত পশুর খামার ‘সাদিক এগ্রো’তে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রামচন্দ্রপুর খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে তৈরি করা খামারটির অফিস ও শেড উচ্ছেদে এই অভিযান চালানো হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোতাকাব্বীর আহমেদ।

সম্প্রতি দেড় কোটি টাকার ‘অভিজাত’ গরু এবং ‘১৫ লাখ টাকার’ ছাগল নিয়ে আলোচনায় আসে এই খামার।

তবে অভিযানের খবর আগেই আচ করতে পেরে সাদিক এগ্রোর বেশ কিছু গবাদি পশু সরিয়ে নেয়া হয়। এছাড়া খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা অস্থায়ী কিছু স্থাপনাও সরিয়ে নিয়েছে তারা।

মোহাম্মদপুরে সাদিক এগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ডিএনসিসি। ছবি: নিউজবাংলা

এর আগে বুধবার সাদিক এগ্রোতে অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়। প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

অভিযানের প্রথমেই ফার্মের অফিস ও দুটি শেড ভেঙে দেয়া হয়। এই দুই শেডের একটিতে ছিল কোরবানির ঈদের আলোচিত সেই ছাগলও। ১৭৫ কেজি ওজন, ৬২ ইঞ্চি উচ্চতার ছাগলটিসহ সব ছাগলই অভিযান শুরুর পরপরই খামার থেকে সরিয়ে নেয় খামারের লোকজন।

কোরবানির ঈদ ঘিরে সাদিক এগ্রো আলোচিত ছাগলটির দাম হাঁকে ১৫ লাখ টাকা। এত দামের পেছনে ব্যাখ্যা ছিল উন্নত জাত ও বংশ মর্যাদা। সেই ছাগল কিনতে গিয়ে ভাইরাল হন তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত। আর সেই ছাগলের রশি গলার ফাঁস হয়ে দেখা দেয় ইফাতের বাবা সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের।

ছেলের ছাগল-কাণ্ডের পর তিনি হারিয়েছেন এনবিআরের পদ। তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এবার ওই ছাগলের আস্তানা সাদিক এগ্রোতে চলছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান।

অবশ্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা স্থাপনা উচ্ছেদেই অভিযান চলছে। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই।

অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ‘রামচন্দ্রপুর খালের দুই ধারে যারা অবৈধ দখলদার ছিল, এই অভিযান তাদের বিরুদ্ধে। খালের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগেও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এখান থেকে ট্রাক স্ট্যান্ড সরিয়েছেন, বহুতল ভবন ভেঙেছেন। এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানেরই অংশ।’

‘অভিযানকালে আপনারা দেখেছেন, রামচন্দ্রপুর খালের অংশ দখল করে স্থাপনা করা হয়েছে। সেই স্থাপনা দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের অভিযান অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে’, যোগ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

তিনি আরও বলেন, ‘সাদিক অ্যাগ্রোর মালিককে ঈদের আগেও আমিরা নোটিশ দিয়েছি। নোটিশে অবৈধ স্থাপনা থাকলে সরিয়ে নিতে বলা হয়। আমরা ঈদের আগে উচ্ছেদ অভিযান চালাইনি। কারণ এর ফলে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতো। আমরা এমনটা চাইনি বলে উচ্ছেদে যাইনি। সেই নোটিশের পর দখলদাররা কোনো ব্যবস্থা নেননি।’

এদিকে অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী, আলোচিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইমরান দাবি করেন, ‘তিনি শুধু জমিটি ভাড়া নিয়েছেন। মাটি ভরাট করে কোনো স্থাপনা তৈরি করেননি। যার থেকে জমি ভাড়া নিয়েছেন তিনি ভরাট করেছেন।

এদিকে অভিযান চলাকালে জমির মালিকের পক্ষে একজন উপস্থিত ছিলেন। তবে সাদিক অ্যাগ্রোর পক্ষে কেউ ছিলেন না।

এ বিভাগের আরো খবর