পাবনার সুজানগর উপজেলায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোজাহার বিশ্বাস নামের এক আওয়ামী লীগকর্মী মারা গেছেন।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
৫৪ বছর বয়সী মোজাহার বিশ্বাস সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাণীনগর এলাকার মৃত আছির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের গ্রুপের কর্মী ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, গত ২১ জুন রানীনগর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আলামিন মিয়া নামে শাহীন গ্রুপের ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। ওই ঘটনার জেরে ওই এলাকার বেশকিছু বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। হামলায় মোজাহার বিশ্বাসসহ ওহাব গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। মোজাহার বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকাতেই মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। মরদেহ আসার পর এবং থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ঘটনার পরপরই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, ‘আগে যে মারা গেছে সেও আমার কর্মী, এখন যে মারা গেছে সেও আমার কর্মী; তারা আওয়ামী লীগের কর্মী। আমি উভয় হত্যার বিচার চাই। পাশাপাশি যারা বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই, যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘যুবলীগ নেতা আল আমিন হত্যার ঘটনার পরপরই সেদিন নিহতদের লোকজন মোজাহার বিশ্বাসের অবস্থান জানতে পেরে তাকে মারধর করে। সেই মারধরে তিনি আহত হয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডে যেই জড়িত থাকুক, তার বিচার হওয়া উচিত। এখানে আমার লোক, অমুকের লোক বলে কোনো কথা নেই।’