অনিয়মের অভিযোগে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বৃস্পতিবার বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
মেয়র মুহিবুর রহমান নানা কারণেই বিভিন্ন সময়ে আলোচিত। গত জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আবার আলোচনায় আসেন তিনি। মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করেই ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
ভোটের দিন বিকেলে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন মুহিবুর। ওই নির্বাচনে জয়ী হন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। পরে তিনি প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
নির্বাচনের কিছুদিন পর মুহিবুরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেন বিশ্বনাথ পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তাকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে যা আছে
বহিষ্কারের আদেশ দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পৌর পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা তার নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠান করা, শহর সমন্বয় (টিএলসিসি) কমিটির সভা না করা, মাসিক সভার কার্যবিবরণীর কপি কাউন্সিলরদের না দেয়া, পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপনা না করে শহরের প্রাণকেন্দ্র প্রবাসী চত্বরের পাশে জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডাম্পিং করা, বিশ্বনাথবাসীর প্রাণ বলে খ্যাত বাসিয়া নদী পরিষ্কার না করে সেখানেও ময়লা-আবর্জনা ডাম্পিং করা সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হয়েছে।
এ ছাড়াও তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমতি ছাড়া গত ২৪ জুন যুক্তরাজ্যে যান।
মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুহিবুর রহমানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।