নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার সড়কে বাঁশি ও লাঠি হাতে নিয়ে পরিবহন থেকে চাঁদা নেয়ার সময় ৩৪ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। এসময় চাঁদা আদায়ের নগদ ৯৮ হাজার ৫১৫ টাকা, ৩৪টি মোবাইল, লাঠিসোঁটা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ।
জেলার সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় সোমবার এসব অভিযান চালানো হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা চাঁদাবাজির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তারা নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মাইজদী বাজার, দত্তেরহাট, সোনাপুর এবং বেগমগঞ্জের চৌমুহনী, চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে।
একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন তারা রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং অভ্যন্তরীণ পণ্যবাহী যানবাহন ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করত। ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের গাড়ি ভাঙচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিত তারা।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘চক্রটি জেলার বিভিন্ন এলাকার মহসড়ক থেকে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ি, সিএনজি ও অটোরিকশাচালকদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানা ও সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহিদুল হক এবং বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। তাদের চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’