বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গজারিয়ায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ

  • প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)   
  • ২৪ জুন, ২০২৪ ২১:৫২

গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ জয়লাভ করায় হেরে চাপে ছিল হারুন গ্রুপের লোকজন। এর মধ্যে রোববার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে গোয়ালগাঁও গ্রামের দিলা মিয়ার মুদি দোকানের সামনে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত ৯ জন। আহতদের ৭ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন- ৩৫ বছর বয়সী হারুন অর রশিদ, ৩৪ বছর বয়সী রনি, ৪০ বছর বয়সী আক্তার, ৪২ বছর বয়সী মুক্তার, ২৫ বছর বয়সী আনন্দ, ২২ বছর বয়সী হাসিব, ৫৫ বছর বয়সী শাহিনূর বেগম এবং শাহ পরান গ্রুপের ২৪ বছর বয়সী রিয়াদ হোসেন ও ৪০ বছর বয়সী আক্তার হোসেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হোসেন্দী ইউনিয়নে শাহ পরান গ্রুপের সঙ্গে প্রতিপক্ষ হারুন অর রশিদ গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর পক্ষে ছিলেন শাহ পরান। অন্যদিকে, হারুন অর রশিদ গ্রুপের লোকজন ছিলেন আমিরুল ইসলামের পক্ষে।

মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ জয়লাভ করায় চাপে ছিল হারুন গ্রুপের লোকজন। এর মধ্যে রোববার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে গোয়ালগাঁও গ্রামের দিলা মিয়ার মুদি দোকানের সামনে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।

সংঘর্ষ চলাকালে হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখা সভাপতি হারুন অর রশিদসহ তার সমর্থক রনি, আক্তার, মুক্তার, আনন্দ ও হাসিব গুলিবিদ্ধ হন। হামলার খবর পেয়ে হারুনের চাচী শাহিনূর আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।

অন্যদিকে, শাহ পরান গ্রুপের রিয়াদ ও আক্তার হোসেন নামে দুজন আহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

আহতদের মধ্যে ৭ জনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং দুজনকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হামলায় আহত হারুন বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। রোববার আমরা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম, এটা কি আমাদের অপরাধ? এই ঘটনার জের ধরে শাহ পরানের নেতৃত্বে অন্তত ২৫/২৬ জন আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তাদের সবার হাতে পিস্তলসহ বিভিন্ন রকম অস্ত্র ছিল। তারা আমাদের লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুড়তে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে আমরা এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করলে আমাদের ছয়জনের গায়ে গুলি লাগে।’

বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত শাহপরান বলেন, ‘তারা মিথ্যাচার করছে। ঘটনার সময় আমি এলাকাতেই ছিলাম না। এখনও আমি এলাকার বাইরে। আপনারা চাইলে আমার সঙ্গে দেখা করে যেতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘শুনেছি, এলাকায় টুকটাক গ্যাঞ্জাম হয়েছে। আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মীও সামান্য আহত হয়েছেন।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিভিন্ন এলাকায় আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। আজকেও আমার একনিষ্ঠ কর্মী হারুন ও তার পরিবারের সদস্যের ওপর হামলা হলো। আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি না আপাতত বলতে পারছি না। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর