বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও গবেষণায় পারদর্শী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৪ জুন, ২০২৪ ১৪:৫৮

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা) তিনটি বিষয় ছাড়া কোনো দেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। সরকার এসব ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়ন করেছে।’

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণায় পারদর্শী হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণা) তিনটি বিষয় ছাড়া কোনো দেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। সরকার এসব ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়ন করেছে।’

সরকারপ্রধান তার বক্তব্যে প্রযুক্তি খাতে গৃহীত সরকারের পদক্ষেপগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা টেলিফোন সিস্টেমকে ডিজিটালাইজ করি। কম্পিউটার শিক্ষার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় দুই-তিনটা কম্পিউটার দিয়ে।

‘ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষা নিতে পারে, তার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তা ছাড়া আইন করে ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণকাজ শুরু করি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা গবেষণায় কোনো বরাদ্দ দেয়নি। গবেষণায় আমাদের কোনো বরাদ্দ ছিল না। আমাদের প্রথম বাজেট অল্প ছিল, কিন্তু সেখান থেকেও গবেষণার জন্য টাকা দিয়ে দিই। পরে যখন বাজেট দিই, তখন ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সেটা ছিল কম্পিউটার শিক্ষা এবং গবেষণায়।

‘আমাদের শুধু একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমি আরও কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিই। সেই সঙ্গে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠা, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, বায়ু টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, এই সবগুলো আওয়ামী লীগ সরকার আমলে শুরু করেছিলাম।’

শিক্ষানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি আমরা করে গিয়েছিলাম। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতা আসতে পারিনি। আর বিএনপি সেটা বাতিল করে দেয়। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন শিক্ষা ও গবেষণার কাজে আমরা আরও বরাদ্দ বৃদ্ধি করি।

‘২০১০ থেকে আমরা বিনা পয়সায় বই দেয়া শুরু করি। অনেকে ভেবেছে যে, এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা সে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কৃষি, ভেটেরিনারি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, ডিজিটাল, ইসলামি আরবি, এভিয়েশন, এরোস্পেস, বেসরকারি খাতে ফ্যাশন ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে, দেশের, বিদেশের কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে বহুমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে দিচ্ছি।

‘কারিগরি শিক্ষা আমাদের কম ছিল। সেটা আমরা বাড়িয়েছি। আমাদের সরকারি সামাজিক খাতগুলোর শিক্ষাকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। বাজেটে শিক্ষা খাতেই সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়।’

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

এ বিভাগের আরো খবর