সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আত্মহত্যা নিয়ে পোস্ট করা শেরপুরের এক যুবককে রোববার ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, যাকে মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
প্রাণ হারানো যুবকের নাম আমিনুল ইসলাম (২৭), যিনি সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া এলাকার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবদুল হালিমের ছেলে।
আমিনুল বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পরিবারের বরাতে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, আমিনুল ছয় থেকে সাত মাস আগে বিয়ে করেন। বেকার থাকায় এ যুবকের স্ত্রী বেশির ভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের একটি প্রকল্পে কাজ শুরু করেন আমিনুল, তবে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। গত ১৯ জুন ময়মনসিংহের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে কাউন্সেলিং নেয়া ও ওষুধপত্র সেবন শুরু করেন আমিনুল।
ওসি আরও জানান, রোববার দুপুরের দিকে আমিনুল ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজ বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তার ফেসবুক পোস্ট দেখে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন বসতঘরের স্টিলের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক আমিনুলকে মৃত বলে জানান।
যা ছিল ফেসবুক পোস্টে
আমিনুল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে লিখেন, ‘আমি আমার সঠিক মস্তিষ্কে লিখে যাচ্ছি যে, আজ আমার মৃতুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এই বিষয়টা নিয়ে যেন কারও প্রতি কোনো প্রকার চার্জ না করা হয় এবং কাউকে দায়ী না করা হয়।’
তার আগে একই দিন বেলা দুইটা আট মিনিটে পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘ঝুলে গেলে মানুষ মরে যায়, নাকি বেঁচে যায়?’
শেরপুর সদর থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, যুবকের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।