কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কর্তিমারী এলাকা থেকে শনিবার একটি মেছোবাঘ উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।
গত ১৬ জুন রাতে মেছোবাঘের বাচ্চা কর্তিমারীর আরএস ফ্যাশন নামের একটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর বাচ্চাটির মা এলাকায় থাকতে পারে বলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
দোকানে ঢোকার ছয় দিন পর বন বিভাগের কর্মীরা মেছোবাঘটিকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় আবদুস সালাম মিয়া জানান, ভারতের আসামের মানকারচর পাহাড় থেকে বন্যার পানির স্রোতে মেছোবাঘের বাচ্চাটি রৌমারীর যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারে গভীর রাতে একটি দোকানে ঢুকে পড়ে। দোকানের মালিক উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি গ্রামের রাসেল ইসলাম বাচ্চাটিকে না মেরে বাড়িতে একটি খাঁচায় আটকে রাখেন।
রাসেল ইসলাম বলেন, ‘গত রোববার রাত প্রায় আড়াইটার দিকে আমার দোকানে মেছোবাঘের বাচ্চাটি প্রবেশ করে। প্রথমে মনে করি সেটি বিড়াল, কিন্তু ভালো করে দেখি মেছোবাঘের বাচ্চা।
‘পরে পাটের চট দিয়ে বাচ্চাটিকে ধরে খাঁচায় আটকে রাখি। বাচ্চাটি মানুষ দেখলে গর্জে উঠে এবং ভয় পায়। বাচ্চাটিকে বিভিন্ন প্রকার মাংস খাওয়ানো হয়। আমি বিভিন্ন দপ্তরে খবর দিই।’
বন বিভাগ রৌমারীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এটি চিতাবাঘের বাচ্চা নয়; এটি মেছোবাঘ। আমরা গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশসহ তুরা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মেছোবাঘটিকে অবমুক্ত করেছি।’