বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গাসহ বাস্তুচ্যুত ২৮ লাখ মানুষের সংকট নিরসনের আহ্বান অক্সফ্যামের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ জুন, ২০২৪ ১৪:৪৬

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন, উদ্যোগ ও সংহতির প্রয়োজন বলেও মনে করছে অক্সফ্যাম।

মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এবং দেশের অভ্যন্তরে জলবায়ু সংশ্লিষ্ট কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় যাওয়া আরও ১৮ লাখ মানুষের বিদ্যমান সংকট নিরসনের পাশাপাশি পুনর্বাসনে পদক্ষেপ নিতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ।

বিশ্ব শরণার্থী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে অক্সফ্যামের সমীক্ষার ডেটা তুলে ধরে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত সৃষ্টির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো বিপর্যয়কে প্রভাবিত করছে। এ মুহূর্তে দেশের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার, যা মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ।

‘সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রিমালে ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৪৬ জেলার কৃষির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা এ সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। এটি দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ তৈরি করেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ২০১৭ সাল থেকে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ (৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৪ জন) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং সম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষগুলো শত শত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে সীমানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে, যা দেশের শরণার্থী সংকটে নতুন অস্থিরতা তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা ও টেকসই সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে অক্সফ্যাম।

অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বৈষম্যগুলো উন্মোচন করে দিয়েছে। ক্রমাগত জলবায়ু সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে। একটি দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে।

‘এমন অবস্থায় সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বিশেষত ধনী দূষণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে হবে, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে যথাযথ জলবায়ু অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ জলবায়ু অভিযোজন অর্থের প্রয়োজন; দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন।’

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন, উদ্যোগ ও সংহতির প্রয়োজন বলেও মনে করছে অক্সফ্যাম।

দামলে বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সবাইকে রক্ষা করতে হবে। তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর