সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তবে পানি ধীরে কমায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
জেলা শহরের বেশিরভাগ জনবসতি ও সড়কে এখনও হাঁটু সমান পানি। এসব আবাসিক এলাকায় নৌকা ছাড়া যাতায়াতের কোনো উপায় নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রোদের দেখা পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মনে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারি বর্ষণ না হলে ২০২২ সালের বন্যার ভয়াবহ পরিণতি হবে না বলে জানান স্থানীয়রা।
তবে পানি ধীরে কমায় জনবসতিতে দুর্ভোগ রয়েই গেছে। জেলা শহরের পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ নতুনপাড়ায় এখনও হাঁটু সমান পানি। শান্তিবাগ, হাছননগরের কিছু অংশ, কালীপুর, ওয়েজখালীর কিছু অংশ, তেঘরিয়ার কিছু অংশ, পশ্চিম হাজীপাড়া, মল্লিকপুর ও নবীনগরে কিছু এলাকায় নৌকা ছাড়া যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই। এসব এলাকার ঘরবাড়ি থেকে ধীরগতিতে পানি নামায় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
কালীপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘরে পাঁচ দিন হয় পানি, ঈদের দিন হাঁটুর উপরে পানি ছিল। এখনও ঘরে সামান্য পানি আছে। ঘরের ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। পানি দ্রুত নামলে ক্ষতি কম হতো।
শহরের মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে উঠেছেন সিরাজুল ইসলাম। বললেন, ‘ঘরে যাবার মতো পরিবেশ হতে আবহাওয়া ভালো থাকলেও, তিন-চার দিন লাগবে।’
পানি নামার পর কাঁচা ঘরটি পড়ে যায় কি না, এ আতঙ্কে আছেন তিনি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে (শুক্রবার দুপুর ১২ টায়) বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিও চেরাপুঞ্জিতে কম হয়েছে। মাত্র ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জে হয়েছে মাত্র দুই মিলিমিটার।’
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি জানান, আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন আবহাওয়া ভালো থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি ছাড়া বড় কোন বৃষ্টির আশঙ্কা নেই।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিধ সজীব আহমদ বলেন, একেবারে নিরাপদ হয়ে গেছে সিলেট জোন এটা বলা যাবে না, তবে অনেকটাই নিরাপদ হয়ে গেছে। অবনতির আশঙ্কাও কম।
অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিধ সাইদ আহমদ জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জ-সিলেটে আগামী তিন দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ছাড়া ভারি কোনো বৃষ্টি হবে না।