খুলনায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
বিকেলে খুলনার পাইকগাছায় বজ্রপাতে শ্রীকান্ত মণ্ডল নামে এক যুবক মারা যান। তিনি উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের পতিত মণ্ডলের ছেলে।
পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘শ্রীকান্ত মাছের ঘেরের কর্মচারী ছিলেন। বিকেলে বৃষ্টিপাতের সময় ঘেরের একটি ঝুপড়ি ঘরে অবস্থান করছিলেন তিনি। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যাযন। তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে।’
দুপুরের দিকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় খারাবাদ এলাকায় বজ্রপাতে আল মামুন নামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে স্থানীয় মনি চৌকিদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে আকাশে মেঘ দেখে আল মামুন খারাবাদ এলাকার কড়িয়া ভিটায় গরু আনতে যায়। এ সময় বৃষ্টি শুরু হয়। ফাঁকা বিলে কোনো নিরাপদ স্থান না পেয়ে সে দ্রুত বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে মারা যায়। তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়া বজ্রপাতে খুলনার কয়রার অধিবাসী এক শিশুসহ দুজন মারা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এই ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন- কয়রা উপজেলার ঘড়িলাল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এনায়েত আলী ও মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের আল আমিনের ছেলে আট বছর বয়সী নাজমুল। এ সময় গুরুতর আহত হন নাজমুলের নানা মুছা গাজী।
শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম জানান, ঈদ উপলক্ষে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়পদ্মপুকুর এলাকায় বেড়াতে এসেছিলেন তারা। সেখান থেকে চারজন মোটরসাইকেলযোগে গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী খেয়াঘাট হয়ে কয়রার উদ্দেশে রওনা হন তারা। দুপুর ১টার দিকে গাবুরার গাগড়ামারী ও নেবুবুনিয়া এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তারা একটি মৎস্য ঘেরের বাসায় আশ্রয় নিলে বজ্রপাতে এনায়েত ও নাজমুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ছাড়া শিশুটির নানা মুছা গাজীর শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছের আলি মোড়ল বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বজনরা এসে তাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।’