কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় চার শিশুসহ ছয় যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। তারা সবাই উলিপুর উপজেলার পশ্চিম বজরার বাসিন্দা। এদের মধ্যে এক পরিবারেরই রয়েছে চারজন।
নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের কারও সন্ধান পায়নি ডুবুবিরা।
নৌকাডুবির ঘটনায় ওই এলাকার আজিজুর রহমানের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম।
স্থানীয় ও নিখোঁজদের স্বজনদের দাবি, নৌকার যাত্রী ৩০ বছর বয়সী আনিছুর রহমান, তার স্ত্রী রুপালি বেগম, তাদের বছরের মেয়ে আইরিন, ভাগ্নী ৯ বছরের হিরা মনি; কয়জন আলীর আড়াই বছরের মেয়ে কুলসুম এবং আজিজুর রহমানের ৫ বছরের ছেলে শামিম হোসেন নিখোঁজ রয়েছে।
বেঁচে ফেরা নৌকার যাত্রী আমিনা বেগম জানান, তার মা ও ভাতিজাসহ পরিবারের চার সদসদ্য দাওয়া খেতে যাচ্ছিলেন। পথে তিস্তার খরস্রোতে তাদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। তারা কোনোমতে সাতঁরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও তার ভাতিজা শামিম হোসেন ডুবে যায়।
শরিফা বেগম নামের আরেক যাত্রী জানান, নৌকাডুবির সময় তার আড়াই বছরের শিশু কুলসুম খাতুন নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে। তিনি বর্তমানে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘একই পরিবারের চারজনসহ মোট ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে এমন শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে চারজনই শিশু, যাদের বয়স ১০ বছরের কম। আমাদের ডুবুরির দল কাজ করছে। বৈরী আবহাওয়া এবং নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।’
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বজরা এলাকার তিস্তার সাদুয়া দামার হাট এলাকায় ২৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তারা সকলেই বিয়ের দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে ১৯ জন নদী সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও সাতজন নিখোঁজ হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।