রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি ভবন থেকে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর মমিনবাগ এলাকার একটি চারতলা ভবন থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, বুধবার ভোরের দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন ৬০ বছর বয়সী শফিকুর রহমান ও তার স্ত্রী ৫০ বছরের ফরিদা ইয়াসমিন। শফিকুর রহমান জনতা ব্যাংকের চাকরি করতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ_পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মমিনবাগের ১৭৫ নম্বর ভবনের নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের এবং দোতলায় শয়ন কক্ষে ফরিদার মরদেহ পাওয়া যায়।
দুজনেরই গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তৌহিদুল হক মামুন বলেন, ‘দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত- সেসব এখনও জানা যায়নি। এটি পূর্ববিরোধ নাকি ডাকাতির ঘটনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে শফিকুর নামাজ পড়ে ফেরার সময় প্রথমে তার ওপর হামলা হয়। পরে দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দুজনেরই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
‘বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। আলমারিও খোলা পাওয়া গেছে। শফিকুলের কাছে প্রধান ফটকের চাবি ছিল।’
পুলিশ জানায়, নিজেদের চারতলা বাড়ির দোতলায় থাকতেন শফিকুর-ফরিদা দম্পতি। উপরের দুই তলা এবং নিচতলার একপাশ ভাড়া দেয়া।
এই দম্পতির ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এসআই ইমন এবং তার স্ত্রীও ওই বাসায় থাকেন। তবে বুধবার রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী এবং তার স্ত্রী বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান।