বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টেকনাফে ২০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি দশ হাজার মানুষ

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ১৯ জুন, ২০২৪ ১৭:৩২

পৌরসভার বাসিন্দা আনছার উল্লাহ বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে একমাত্র সম্বল ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। জানি না, এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাব! একটি মাত্র আশ্রয়কেন্দ্র হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। সকাল থেকে পরিবারের কেউ খাবার মুখে দিতে পারেনি।’

মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়িঘর পাহাড় ধসে ভেঙে পড়েছে। এছাড়া পানির নিচে তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। এতে প্রায় দশ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

সরেজমিনে টেকনাফ পৌরসভা, হ্নীলা, বাহারছড়া, হোয়াইক্যং, শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প, উখিয়ার পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী, মধুর ছড়া এলাকার রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে প্রায় দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পাশপাশি কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

টেকনাফে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেয়া হবে। এছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাম্পের অনেক জায়গায় রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এদের তালিকা করা হচ্ছে।’

পৌরসভার বাসিন্দা আনছার উল্লাহ বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে একমাত্র সম্বল ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। জানি না, এখন পরিবার নিয়ে কোথায় যাব! একটি মাত্র আশ্রয়কেন্দ্র হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। সকাল থেকে পরিবারের কেউ খাবার মুখে দিতে পারেনি।’

টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ জানিয়েছেন, টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানের বরজ, বীজতলাসহ ব্রিজ, কালভার্ট ও ২০ কিলোমিটারেরও বেশি গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানির কারণে আশপাশের ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সাহায্য করা হবে।

এসময় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর