‘এবারের ঈদে আনন্দ নেই ঝালকাঠি সদরের আগলপাশা গ্রামের অসহায় দম্পতি জামাল-মিনারার পরিবারে। দোকান ঘরের ওপর গাছ পড়ে তাদের ঈদ আনন্দ হারিয়ে গেছে।’
নিউজবাংলায় ১৫ জুন প্রকাশ হওয়া এমন সংবাদ নজরে আসে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুলের। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অসহায় মিনারা বেগমকে ডেকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের এমন সহৃদয় সহায়তায় মিনারার ঘরে ঈদের আনন্দ ফিরে আসে। সহায়তা পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি।
মিনারা নিউজবাংলাকে নিজের দুর্দশার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালে গাছ পড়ে আমার দোকান ঘরটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। দোকানটিতে আমি চা-নাস্তা বিক্রি করতাম। আর সেই রোজগার দিয়ে ঘরে বাজার করতাম। অসুস্থ স্বামী ও সন্তানদের খাওয়াতাম। বর্তমানে ঘরে নেই ভাতের চাল। তার ওপর কিস্তির চাপ। দোকান ঘরটি নতুন করে তুলবো সেই পয়সাও নেই। ঈদ আসবে ঈদ যাবে, ওসব ভেবে কী করবো, বিষ খেয়ে মরে গেলে বেঁচে যাইতাম। সন্তানদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না।
‘ঈদের আগের রাতে হঠাৎ করে পুলিশ সুপার স্যার আমাকে ডেকে অনেকগুলো টাকা দিলেন ঈদ করার জন্য। আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই এবার ঈদে পোলাপানরে পোলাও-গোস্ত খাওয়াতে পারমু।’
মিনারার স্বামী অসুস্থ জামাল হাওলাদার বলেন, ‘এসপি সাইবে আমাগো ঘরে ঈদের আনন্দ ফিরাইয়া দিছে। ঈদের দিন সাহেবের টাকা দিয়া অনেক কিছু রান্না কইরা খাইছি। আল্লাহ যেন স্যারেরে দীর্ঘদিন বাঁচাইয়া রাখে। অসহায় মানুষের পাশে যেন স্যারে সারাজীবন থাকতে পারে সেই দোয়া করি।’
পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘নিউজবাংলায় প্রকাশ হওয়া সংবাদটি নজরে আসার পরই আমি প্রতিবেদককে ফোন করে মিনারাকে আমার অফিসে পাঠাতে বলি। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী তাকে সামান্য সহায়তা দিয়েছি।’