সমাজের বিত্তশালীকে ফিলিস্তিনসহ দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি দেশের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ান।’
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোমবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে দেয়া এক শুভেচ্ছা ভাষণে রাষ্ট্রপ্রধান ধনী-গরিব নির্বিশেষে দেশের সবাইকে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বের অনেক স্থানে মানুষ অনাহার-অর্ধাহারে, বিনা চিকিৎসায় ও স্বজনহারা বেদনায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে।
‘সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমেলের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকেরই ইচ্ছা থাকলেও কোরবানি করতে পারছে না। ঘূর্ণিঝড়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং ঈদের খুশিতে তারাও যাতে শরিক হতে পারে সে চেষ্টা চালাতে হবে।
মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিনি দেশ-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহা মানুষের মধ্যে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।
‘আসুন, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেই। পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি- মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি।’
মশা-মাছি ও বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কোরবানির পর বাড়ির আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি কোরবানির বর্জ্য সময়মতো সরিয়ে নিতে সিটি করপোরেশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
এর আগে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদুল আজহা উপলক্ষে বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্য, সিনিয়র রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কবি, লেখক, শিক্ষক এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।