পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর মোহনায় আবারও ভেসে এসেছে একটি জীবিত ডলফিন। এর আগে গত ১২ জুন বিকেলে ওই নদী সংলগ্ন একটি জলাশয়ে ভেসে আসে আরেকটি জীবিত ডলফিন। পরদিন সেটিকে সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে একই এলাকায় দুটি জীবিত ডলফিন ভেসে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা ধরনের কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু জানান, রোববার শেষ বিকেলে কলাপাড়া উপজেলার জালালপুর গ্রামে আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে একটি জীবিত ডলফিন দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার ইমতিয়াজ তুষার ও সদস্য কেএম বাচ্চুর নেতৃত্বে সাত থেকে আটজনের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ডলফিনের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তারা।
ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য কেএম বাচ্চু বলেন, ‘আমরা পানিতে নেমে প্রায় আধঘণ্টা ধরে ডলফিনটিকে কিছু খাবারের ব্যবস্থা করেছি এবং তাকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেছি। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ডলফিনটিকে ওই এলাকার একটি পুকুরে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সকালে ডলফিনটি সুস্থ থাকলে সাগরে অবমুক্ত করা হবে।’
কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান মিরাজ জানান, এর আগে প্রায় কাছাকাছি স্থান থেকে আরও একটি জীবিত ডলফিন ভেসে এসেছিল। আজকেও আসলো। এরমধ্যে কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসল মৃত ডলফিন। কিন্তু কেন এরকম হচ্ছে এ বিষয়ে গবেষণা দরকার।
কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ তুষার জানান, এটির দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় দেড় ফুট। এটি বোতলনোজ প্রজাতির ডলফিন। এরা সাধারণত জোড়াবদ্ধ অবস্থায় সাগরে থাকে।
কেন বার বার জীবিত বা মৃত ডলফিন উপকূলে আসছে এ নিয়ে মৎস্য গবেষণা এবং মৎস্য বিভাগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার বলে জানান তিনি।