বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশ কার স্বার্থ রক্ষা করছে- মিয়ানমার ইস্যুতে প্রশ্ন রিজভীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ জুন, ২০২৪ ১৪:৫৮

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দীর্ঘদিন থেকেই চরম অস্থিরতা চলছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার জান্তা সেনাদের আগ্রাসী ভূমিকায়ও নির্বিকার।  মিয়ানমারের ব্যাপারে বাংলাদেশ কী নীতি অবলম্বন করছে তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত আজ অনিরাপদ। বিপন্ন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্বিকার।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার হারিয়ে জনগণ আজ নিজ দেশেই যেন পরাধীন ও বন্দি। অরক্ষিত দেশের সীমান্ত। সেন্টমার্টিন প্রায় অবরুদ্ধ। বাংলাদেশের নাগরিকরা সেখানে যেতে নিরাপদ বোধ করছে না। সেন্টমার্টিনকে ঘিরে গত কয়েকদিন মিয়ানমার যা করছে, তা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য চূড়ান্ত হুমকি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দীর্ঘদিন থেকেই চরম অস্থিরতা চলছে। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ভারী অবৈধ অস্ত্র ঢুকছে। যুদ্ধকবলিত মিয়ানমারের জান্তা সেনারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায়শ ঢুকে পড়ছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার জান্তা সেনাদের আগ্রাসী ভূমিকায়ও নির্বিকার।’

বাংলাদেশ কোনো দেশের স্বার্থ রক্ষা করছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার কার স্বার্থ রক্ষা করছে? মিয়ানমারের ব্যাপারে বাংলাদেশ কী নীতি অবলম্বন করছে তা জানার অধিকার অবশ্যই জনগণের রয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রীর তাঁবেদারি আচরণের কারণে বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন আজ কোনো সীমান্তেই নিরাপদ নয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশসহ মোট সাতটি দেশের সীমান্ত রয়েছে। অন্য কোনো দেশের সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করার সাহস না করলেও বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়শই বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিক।’

রিজভী বলেন, এই আনন্দঘন ঈদে মানুষের মনে সুখ নেই, আনন্দ নেই। মানুষের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে এই লুটেরা সরকার। মানুষের ঘরে খাবার নেই। উচ্চ-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও এখন অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা। তারাও কোরবানি করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছে। কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা কম, যারা আছেন বেশিরভাগ সরকারি দলের লুটেরা, অবৈধ অর্থের মালিক।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শেয়ার বাজার থেকে আরম্ভ করে পাড়া-মহল্লার কাঁচাবাজার পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরেই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অসহায় সাধারণ জনগণ। লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘দেশের সবক’টি ব্যাংক এখন প্রায় দেউলিয়া। শুধু ডলার সংকটই নয়, ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এমনকি ব্যাংকে গিয়ে গ্রাহকরা চাহিদামতো নগদ পাঁচ হাজার টাকাও তুলতে পারছেন না। ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না।’

এ বিভাগের আরো খবর